Thursday, March 28, 2024
More
    HomeLife Style & Fashionটেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং উচ্চ শিক্ষাঃজার্মানি (Part 01)

    টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং উচ্চ শিক্ষাঃজার্মানি (Part 01)

    টেক্সটাইল বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি প্রধান একটি সেক্টর। হাজার হাজার শিক্ষার্থী প্রতি বছরের স্নাতক শেষে এই সেক্টরে পদার্পণ করে। ক্যারিয়ার গঠনের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক চাঙ্গা করে তোলে। কিন্তু তারপরও এই বিষয়ে উচ্চশিক্ষার অভিপ্রায়ে প্রতিবছরই বাংলাদেশ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্রছাত্রী পাড়ি দেয় বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে। আর ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি টেক্সটাইল উচ্চশিক্ষায় সবচেয়ে এগিয়ে। আজ থেকে প্রায় ৬০-৭০ বছর আগে তৈরি পোশাকশিল্পের বেশিরভাগ যোগানদাতা ছিল জার্মানি। পরবর্তীতে কালক্রমে তারা শুধু তৈরি পোশাকশিল্পের সীমাবদ্ধ না থেকে টেকনিক্যাল টেক্সটাইলের দিকে অগ্রসর হয়। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৬০-৬৫% টেকটিক্যাল টেক্সটাইলের যোগানদাতা জার্মানি। আর তাই এই দেশে  টেক্সটাইলে উচ্চ শিক্ষার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। এজন্যই টেক্সটাইল বিষয়ে জার্মানিতে প্রচুর সরকারি বা বেসরকারি ভাবে গবেষণা হয়। এতে পড়াশোনা শেষে জার্মানিতে এই সেক্টরে কাজ করার ও ক্যারিয়ার গঠনের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। যা শেষার্ধে আলোচনা করা হবে। এখন জার্মানিতে টেক্সটাইল উচ্চশিক্ষা বিষয়ক খুঁটিনাটি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

    কেনো টেক্সটাইল উচ্চশিক্ষায় জার্মানি?

    ইউরোপে মধ্যে জার্মানি সবচেয়ে বেশি পোশাক ব্র্যান্ডের উৎপত্তিস্থল। এছাড়াও দেশটিতে প্রায় ১৪০০ টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ টেকনিক্যাল টেক্সটাইল উৎপাদন করে থাকে। প্রায় ১.৫ লক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারী উক্ত গার্মেন্টস কারখানা গুলোতে কর্মরত রয়েছে। তাই পড়াশোনা শেষে চাকুরীর সুযোগ থেকে যায়। জার্মানিতে বর্তমানে অর্থনীতি ধরে রাখতে প্রশিক্ষিত জনবল এর প্রচুর প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে জার্মান সরকার নানা রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। যেমন ভিসা সহজীকরন, নাগরিকত্ব প্রদান, গবেষণার সুযোগ ইত্যাদি অন্যতম। এ কারণে এমএসসি শেষ করার পর জার্মান সরকার ১৮ মাসের ভিসা প্রদান করে। যা মূলত চাকরি খোঁজার জন্য ব্যবহার করতে হয় এবং চাকরির পাঁচ বছর পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করলে জার্মান সরকার কিছু যাচাই-বাছাই করে নাগরিকত্ব প্রদান করেন। যে প্রক্রিয়াটি বিশ্বের অন্যান্য দেশে খুবই জটিল। এছাড়াও দেশটিতে বর্তমানে প্রায় ১২ শতাংশের বেশি ফরেন স্টুডেন্ট পড়াশোনা করছে। প্রায় ৪০০ টি ভার্সিটি রয়েছে। যদিও সেগুলো সব টেক্সটাইল এর জন্য নয়। আর সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এখানে কোনো টিউশন ফি নেই। কারণ জার্মান সরকার শিক্ষাকে একটি সার্ভিস মনে করে, ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেন না। তবে বর্তমানে কিছু কিছু স্ট্রেটের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো টিউশন ফি যুক্ত করছে। এসব বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে ভর্তি হতে হবে। কিন্তু সেমিস্টারের শুরুতে কিছু ইউরো খরচ করতে হয় যেগুলো মূলত যাওয়া-আসা, নিরাপত্তা, বিভিন্ন ধরনের সুবিধা প্রদান করে থাকে। এখানে একজন ছাত্র পড়াশোনার পাশাপাশি উপার্জন করে  জীবন-যাপন করতে পারেন। যা অন্যান্য দেশে খুবই কষ্টসাধ্য। পড়াশোনা শেষে যে ভিসা দেওয়া হয় তা দিয়ে চাইলে ইউরোপের ২৭ টা দেশ ভ্রমণ করা সম্ভব। আরেকটি লক্ষণীয় বিষয় হলো অন্যান্য দেশ যখন আন্তর্জাতিক ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য করোনার মধ্যে তেমন কোনো সাহায্যের হাত বাড়ায়নি ঠিক সেই সময় জার্মান সরকার খুবই সামান্য সুদে বা বিনা সুদে আন্তর্জাতিক ছাত্র-ছাত্রীদের লোন দিয়েছে। যা পড়াশোনা শেষ করেও তারা পরিশোধ করতে পারবেন। এটি সত্যিই একটি বিস্ময় এবং অন্যান্য দেশের জন্য অনুকরণীয়।

    আবেদন যোগ্যতা:

     বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন ধরনের যোগ্যতা চেয়ে থাকে। স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি স্তরে পড়ালেখার জন্য ভিন্ন ভিন্ন রিকোয়ারমেন্ট থাকে। 

    Bachelor Academic Requirements: প্রথমত ১৩ বছর স্কুলিং শেষে জার্মানিতে ব্যাচেলর ডিগ্রী তে ভর্তির জন্য যোগ্য বলে গণ্য করা হয়। সে ক্ষেত্রে এইচএসসি পর্যন্ত ১২ বছর, জার্মানিতে গিয়ে ১ বছরের প্রিপারেটরি কোর্স সম্পন্ন করতে হয়। অথবা বাংলাদেশের কোন টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক বছর টেক্সটাইল বিষয়ে পড়াশোনা করে মোট কোর্সের 25% সম্পন্ন করতে হয়। এরপরই আপনি ব্যাচেলর এ ভর্তির জন্য যোগ্য বলে গণ্য হবেন।

    Bachelor Language Requirements: ইংরেজি ভার্সনে লেখাপড়া করতে হলে অবশ্যই IELTS দিতে হবে এবং তাতে 6.5(স্ট্যান্ডার্ড) স্কোর থাকতে হবে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এর কমেও হয়ে থাকে। কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় TOEFL চেয়ে থাকে। আবার কেউ যদি জার্মান ভাষায় ব্যাচেলর করতে চাই, তবে প্রচুর সুযোগ রয়েছে। বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় B2 অথবা C1 সার্টিফিকেট চেয়ে থাকে। কিছু কিছু ভার্সিটি TESTUP (IELTS এর মতই) সার্টিফিকেট চেয়ে থাকে। জার্মান ভাষায় ব্যাচেলর করার জন্য টেক্সটাইলে অনেক কোর্স আছে তবে ইংরেজির ক্ষেত্রে সংখ্যা তুলনামূলক অনেকটাই কম।

    পরের আর্টিকেলে বিভিন্ন ভার্সিটি, স্নাতকোত্তর, হোস্টেল এগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে।

    তথ্যসূত্র- Google, Google scholar, Wikipedia, YouTube, DAAD, Egaltube .com, GAABBD .com, Textile inside .com

    Writer’s Information 

    Name: Shourov Kumar karmoker 

     Department: Textile Engineering.

    Year: 2nd year 1st semester.

    Campus: Ahsanullah University of          

    Science and Technology 

    RELATED ARTICLES

    3 COMMENTS

    Leave a Reply to Foysal Amin Buya Cancel reply

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments