মিতা,ডেস্ক রিপোর্টার,টিইএস।।
পাট বাংলাদেশের সোনালী আশঁ। যাকে বলে গোল্ডেন ফাইবার। অতীতে পাট ব্যাবসায়ীদের ছিলো কদর। বর্তমানে যা নেই বললেই চলে।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য থেকে দেখা যায়, রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে বর্তমানে পোশাক খাতের পরেই দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাট খাত। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের (জুলাই-আগস্ট) এই দুই মাসে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ আয় করেছে ১৯ কোটি ৫৪ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি।
মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে গেল অর্থবছরে তৈরি পোশাকসহ বড় সব খাতের রপ্তানি আয়ে ধস নামলেও পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয়ে বরাবরই দেখা গেছে উল্টো চিত্র।জুলাই আগষ্ট রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে পাট।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বালাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে পাটের গুরুত্ব বোঝা গেছে। পুরো বিশ্ব এখন পাটের ওপর ঝুঁকছে। পাট পণ্যের ব্যবহার হু হু করে বাড়ছে। রপ্তানিও বাড়ছে। তবে এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সরকারের নীতি সহায়তা প্রয়োজন। আমাদের দেশীয় পাটকলের চাহিদার তুলনায় প্রায় ১০ লাখ বেল উৎপাদন কম হয়েছে। বাজারে পাটের সংকট চলছে। দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। এর পরে কাটা দিয়ে পাট পাওয়া যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে কাঁচা পাট রপ্তানি বন্ধ করা ছাড়া আর কোনো পথ নেই। দেশীয় পাটকল বাঁচাতে হলে কাঁচাপাট রপ্তানি বন্ধ করতে হবে।
বালাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মো. জাহিদ মিয়া বলেন, পাট পণ্যের মূল্য নির্ধারণ হয় কাঁচা পাটের ক্রয় মূলের ওপর। পাট পণ্যের প্রায় ৭৫ শতাশ কাঁচা পাট কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর মূল্য অতিমাত্রায় বেড়ে গেলে পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে। কাঁচা পাট সরবরাহ ঘাটতির কারণে পাটকল বন্ধ হয়ে গেলে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারের ক্রেতারা পাটপণ্য ব্যবহার থেকে সরে দাঁড়াবে। তাই কাঁচা পাট রপ্তানি বন্ধ করতে হবে।
জুলাই-আগস্ট দুই মাসে পাটসুতা (জুট ইয়ার্ন) রপ্তানি হয়েছে ১৪ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার।। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬৭ শতাংশ। কাঁচা পাট রপ্তানি হয়েছে ১ কোটি ৯৭ লাখ ৪০ হাজার ডলার। আয় বেড়েছে ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
পাটপণ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- নান্দনিক বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ, এবং নানা ধরনের গৃহস্থালি, বাহারি সাজসজ্জায় ব্যবহৃত পণ্যসামগ্রী অন্যতম। দৈনন্দিন জীবনের ব্যবহার পণ্যসামগ্রী হোম টেক্সটাইলঃবেড কভার, কুশন কভার, সোফা কভার, কম্বল, পর্দা, টেবিল রানার, টেবিল ম্যাট, কার্পেট, ডোর ম্যাট, শতরঞ্জি। পরিধেয় বস্ত্রঃব্লেজার, ফতুয়া, কটি, শাড়ি।।।
চলতি বছরের জুলাই মাসে সরকার বিজেএমসির আওতাধীন রাষ্ট্রায়ত্ত ২৬টি পাটকলে উৎপাদন বন্ধ করে ২৪ হাজার ৮৮৬ জন স্থায়ী শ্রমিককে অবসরে পাঠায়।
এতে অনেক পাট কারখানা শ্রমিকরাই আজ বেকার।।
ময়মনসিংহের গফরগাঁও এলাকার স্থানীয় কৃষক রমিজ উদ্দিন এর সাথে পাট এর বিক্রির কথা জানতে চাইলে উনি বলেন’ গত বছর কয়েকটি ধানের ক্ষেতেই উনি পাট চাষ করেছিলেন ভালো ফলন ও হয়ে ছিলো কিন্তু পাট সুতা বিক্রি করতে পারেন নি।কিন্তু এ বছর ভালো দামে বিক্রি করলেন পাট সুতা।নিজের কিছু টাকা লাভ ও হয়েছে এতে।।।।
স্থানীয় আরো কিছু কৃষকের কছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন উনারাও সন্তুষ্ট এ বছর ন্যায্যমূল্য পেয়ে ।
ফিরছে সোনালী আশেঁর সোনালী অতীত।
তথ্যসূত্রঃ দৈনিক আমাদের সময় ( ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০)
Writer:Fouzia Jahan Mita
9th,Batch-NITER

