Saturday, April 27, 2024
More
    HomeTechnical Textileটেক্সটাইল জগতের নতুন বিপ্লব বাঁশ

    টেক্সটাইল জগতের নতুন বিপ্লব বাঁশ

    বাঁশ'” হঠাৎ শুনে কি মনে হচ্ছে? উঁচু লম্বা একটি গাছ তাই না? যা দিয়ে গ্রামে ছোট ছোট ঘর বানানো হয় তাইতো নাকি এটা মনে হচ্ছে গ্রামের মহিলারা বিভিন্ন রকমের জিনিস বানায়? এছাড়া আরো কিছু ব্যবহার এর কথা মাথায় আসে তাই না? যেমন বাঁশ দিয়ে সাকুঁ বানায়, বাঁশ দিয়ে কাগজ ও বানানো হয় এই কয়েকটি বাঁশ এর ব্যবহার কে না জানে।

    কিন্তু বাঁশ এর ব্যবহার যে টেক্সটাইল এও আছে এটা কয়জন এ জানে? কি অবাক হচ্ছেন এই সব ফাইবার তৈরির জায়গায় বাঁশ কি কাজে লাগবে? কেউ আবার ভাবছেন নাতো যে বাঁশ দিয়ে খুঁটি বানাবে? তাহলে আপনার ভুল ধারনা কেনও না টেক্সটাইল এ বাঁশ এর ব্যবহার ফাইবার হিসেবেই হয়। যার নাম ‘বাঁশ ফাইবার ‘
    সর্বপ্রথম ২০০০ সালে শুরুর দিকে চীনের বেইজিং ইউনিভার্সিটি বাঁশ থেকে ফাইবার তৈরির ফর্মুলা তৈরি করেন।

    বানিজ্যিক ভাবে বাঁশ ফাইবার থেকে কাপড় তৈরি শুরু হয় ২০০৪ সাল থেকে।

    প্রকৃতিতে বেড়ে উঠা সব মানুষ কে দিয়ে সব কাজ যেভাবে সম্ভব নয়। ঠিক তেমনি সব ধরনের বাঁশ থেকেও ফাইবার তৈরি করা সম্ভব না তবে কাপড় তৈরির জন্য চীনের মোসো বাঁশ খুব উপকারী। এই বাঁশ গাছের বৈজ্ঞানিক নাম ফিলাস্টাচিস এডুলিস। এই বাঁশ বিশাল লম্বা হয়, খুব ঘনও, যাতে ছোট ফ্যাকাসে সবুজ পাতা থাকে। এই বাঁশ জাত সাধারনত রেয়ন টেক্সটাইলে ব্যবহার করা হয়। এই জাত থেকে ভালো মানের কাপড় তৈরি করা সম্ভব হয়েছে ।

    বাঁশ থেকে ফাইবার তৈরি সাধারণত দুই ভাবে করা হয়ে থাকে ;
    ১.মেকানিক্যাল

    ২.কেমিক্যাল

    মেকানিক্যাল পদ্ধতিঃ মেকানিক্যাল পদ্ধতি সাধারণ পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতিতে বাঁশ কে চূর্ণ করা হয়। এই চূর্ণ থেকে মুন্ড বা পাল্প বানানো হয়। পরবর্তীতে পাল্প এর সাথে কিছু প্রাকৃতিক এনজাইম ব্যবহার করে পাল্প কে নরম করে তা থেকে সুতা সংগ্রহ করা হয়

    কেমিক্যালঃ
    Bamboo Lyocell ও Bamboo Viscose Rayon এই দুইটি পদ্ধতিতে বাঁশ থেকে ফাইবার তৈরি করা সম্ভব ( কেমিক্যাল পদ্ধতিতে) তখন কিছু রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয় সেই জন্যই এটি পরিবেশ বান্ধব সুতা নয়।

    বাঁশ ফাইবার এর ব্যবহারঃ
    *টি-শার্ট
    *আন্ডার গার্মেন্টস
    *ডায়পার, প্যাড
    *পর্দা
    *মোজা
    *তোয়ালে
    *কম্বল
    *সার্জিক্যাল কাপড়
    *পাপোশ ইত্যাদি ।

    বাঁশ ফাইবার থেকে তৈরি কাপড়ের গুনাগুনঃ
    *ব্যাক্টেরিয়া প্রতিরোধক।
    *এলার্জি প্রতিরোধে সহায়তা করে।
    *UV রশ্মি প্রতিরোধে সহায়তা করে।
    *নিজস্ব উজ্জ্বলতা রয়েছে ।

    এতো এতো ফাইবার রেখে কেনও বাঁশ থেকে ফাইবার তৈরি করবোঃ
    বাঁশ সবচেয়ে বড় ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ । একটি বাঁশ থেকে অনেক গুলো বাঁশ হয় এবং বাড়েও দ্রুত। সবধরনের মাটিতেই জন্মায় এটি, এর মজুত ও ব্যাপক।

    পরিবেশ এর উপর প্রভাবঃ বাঁশ থেকে ফাইবার তৈরির প্রক্রিয়া টি পরিবেশ বান্ধব একটি প্রক্রিয়া এতে পরিবেশ এর কোনও প্রকার ক্ষতি হয় না।
    বাংলাদেশে বাঁশ ফাইবার এর ভবিষ্যৎঃ বাংলাদেশে দক্ষিণ এশিয়ার একটি ভৌগোলিক রাষ্ট্র । এখানে ভৌগোলিক ভাবে অনেক বাঁশ জন্মায়। যদি এই বাঁশ যথাযথ ভাবে সংরক্ষণ করে ব্যবহার করা যায় তাহলে টেক্সটাইল শিল্পে বাঁশ ফাইবারের ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে৷

    Reference:Wikipedia
    Butex Genius.

    Written By:
    Faysal Mahmud Sezan
    &
    Fouzia Jahan Mita

    NITER 10th batch.
    Department of Textile Engineering.

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments