টেক্সটাইল ফাইবার হওয়ার যোগ্যতাসমূহ

1
1981
ফয়সাল আহমেদ,নিটার ষষ্ঠ ব্যাচ :

স্পিনিং উপযোগী Length, Strength, Elongation, Micronaire value ও অন্যান্য গুনাবলী সম্বলিত ফাইবারকে টেক্সটাইল ফাইবার বলা হয়। টেক্সটাইল ফাইবার প্রধানত দুই প্রকার। যেমনঃ

১। Natural Fiber

২। Man Made Fiber

১। Natural Fiber: যে সকল ফাইবার প্রকৃতি থেকে পাওয়া যায় সেগুলিকে Natural Fiber বলে। যেমনঃ কটন ফাইবার ,জুট ফাইবার ইত্যাদি।

২। Man Made Fiber: যে সকল ফাইবার মানুষ দ্বারা বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে  কৃত্রিমভাবে তৈরি  করা হয় তাদের Man Made Fiber বলে । যেমনঃ পলিয়েস্টার ফাইবার,রাইয়ন ফাইবার,গ্লাস ফাইবার,কার্বন ফাইবার।

পৃথিবীতে অনেক ধরনের ফাইবার আছে । সকল ফাইবার কে টেক্সটাইল ফাইবার বলা যায় না । টেক্সটাইল ফাইবার হওয়ার জন্য একটা ফাইবারকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।সেই জন্য ফাইবারের কয়েকটি যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন টেক্সটাইল ফাইবার হতে  গেলে। সেই যোগ্যতা গুলো হলোঃ

১। Fiber Fineness

২। Maturity

৩। Fiber Length

৪। Strength

৫। Fiber Clearness

৬। Color

৭। Elongation

যেসকল ফাইবারের মধ্যে উপরের গুনগুলো আছে একমাত্র সেগুলোকেই টেক্সটাইল ফাইবার বলা যায়।

সকল টেক্সটাইল ফাইবারই ফাইবার কিন্তু সকল ফাইবার টেক্সটাইল ফাইবার নয় । যেমনঃমানুষের চুল একটি প্রোটিন  ফাইবার কিন্তু এটি টেক্সটাইল ফাইবার নয়। যদিও চুলের কিছু Strength, Length ‌,Fineness এবং টেক্সটাইল ফাইবারের অন্যান্য গুনাবলী আছে তথাপি এটাকে টেক্সটাইল ফাইবার বলা যায় না কারন এটার বহিরাবরণ বেশি গোলাকার এবং এটার কোনো মুক্ত প্রজেক্টিং প্রান্ত নেই। যদি আমরা ওল ফাইবারের সাথে এটাকে তুলনা করি তখন দেখা যাবে ওল ফাইবারের সাথে মানুষের চুলের তেমন কোনো পার্থক্য নাই। একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে যে ওল এবং মানুষের চুল প্রায় একই মানের। মজ্জাও ওলের তুলনায় বেশী চিহ্নিত করা যায়। মানুষের চুল গভীরভাবে পিগমেন্টেড যা টেক্সটাইলে ব্যবহার করার জন্য অনুপযোগী।

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here