Saturday, April 20, 2024
More
    HomeTextile Manufacturingসম্ভাবনার বাংলাদেশ: ভাইরাসরোধী কাপড় ‘করোনা ব্লক’

    সম্ভাবনার বাংলাদেশ: ভাইরাসরোধী কাপড় ‘করোনা ব্লক’

    করোনা ভাইরাস মহামারীর এই সময় বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে যখন চরম দোলয়মান অবস্থা বিরাজমান।তখন আশার আলো দেখাছে ভাইরাস প্রতিরোধী কাপড় ‘করোনা ব্লক’। করোনা ব্লক নামে কাপড়টি স্বাস্থ্যসম্মত। করোনাভাইরাস মহামারী বশে আনার জন্য সারা বিশ্ব যখন প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে, ঠিক সেই সময় বাংলাদেশ সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধক কাপড় তৈরি করে।

    দেশের বস্ত্র খাতের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান করোনাভাইরাস প্রতিরোধক কাপড় তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল,তার মধ্যে দেশের বস্ত্র খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান জাবের অ্যান্ড জুবায়ের করোনাভাইরাস প্রতিরোধক কাপড় তৈরি করেছে,অন্যরা ও খুব কাছাকাছি। এই কাপড় তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ রাসায়নিক পদার্থ। ফলে ওই কাপড়ে করোনাভাইরাসসহ অন্য কোনো ভাইরাস টিকতে পারবে না। যদি কোনোভাবে কোনো ভাইরাস ওই কাপড়ে লাগে, মাত্র ১২০ সেকেন্ডে ওই কাপড় ৯৯.৯ শতাংশ ভাইরাসমুক্ত হবে।

    সম্প্রতি জাবের অ্যান্ড জুবায়েরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছে।বস্ত্র খাতে প্রতিযোগী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশেই প্রথম এই কাপড় উদ্ভাবিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্র্যান্ড অ্যান্ড কমিউনিকেশন ম্যানেজার অনল রায়হান বলেন, সাধারণ সব ধরনের পোশাক তৈরিতে ভাইরাস প্রতিরোধক এই কাপড় ব্যবহার করা যাবে। তবে বিশেষায়িত কাপড় হওয়ায় এই কাপড়ে তৈরি পোশাকের দাম তুলনামূলক ২০% বেশি হবে। জাবের অ্যান্ড জুবায়ের রপ্তানির জন্য এ কাপড় তৈরি করেছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

    এরই মধ্যে এই কাপড় আন্তর্জাতিকভাবে মান সনদের স্বীকৃতি পেয়েছে।আইএসও ১৮১৮৪-এর অধীনে এটি পরীক্ষা করা হয়েছে। কাপড় তৈরির মূল উপাদানগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বিষাক্ত পদার্থ নিয়ন্ত্রণ আইন ও পরিবেশগত সুরক্ষা সংস্থায় নিবন্ধিত। এইএনএম’র মতো বায়ার আগ্রহ দেখাচ্ছে। শতাধিক বায়ার করোনা ক্লিনিং ফেব্রিক এর ডিটেইল চাচ্ছে। তারা জাবের অ্যান্ড জুবায়ের বিভিন্ন সনদ দেখতে চাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ইউনাইটেড গ্রুপ এই কাপড়ের তৈরি ৫ লাখ পিস মাস্ক নেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানটির সাথে চুক্তি করেছে। যা বাংলাদেশের জন্য সুসংবাদ।

    কাপড়টি দিয়ে মাস্ক, পিপিই, শার্ট, প্যান্ট ও জ্যাকেটসহ সব ধরনের পোশাক তৈরি করা যাবে। ভাইরাস রোধে এ কাপড় প্রায় শতভাগ নিরাপত্তা দিলেও ২০ বার ধোয়ার পর এর কার্যকারিতা কতখানি থাকবে, তা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা থাকলেও ২০ বার ধোয়া পর্যন্ত যে কার্যকারিতা বিদ্যমান থাকবে সে বেপারে সবাই একমত ।ভাইরাস প্রতিরোধক এই কাপড় নেওয়ার ব্যাপারে ইউরোপ-আমেরিকার ক্রেতাদের কাছ থেকে বিপুল সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।যা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের দোলয়মান অবস্থার শক্ত অবস্থা তৈরি করতে সক্ষম।

    Writer information:

    Hasan Ahmed Imran
    Merchandiser
    Mr.Jeans Fashion

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments