Friday, April 26, 2024
More
    HomeTextile Manufacturingবাটিক প্রিন্ট সম্পর্কে জেনে নিই

    বাটিক প্রিন্ট সম্পর্কে জেনে নিই

    ♦ বাটিক প্রিন্ট কি?

    বাটিক প্রিন্ট হল এমন একটি শিল্পকর্ম, যার মাধ্যমে কাপড়ে মনের মতন নকশা এঁকে মোম দিয়ে নকশাটি ঢেকে দেওয়া হয়। অতঃপর পোশাকটি রঙে ডুবিয়ে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। মোমের কারণে পোশাকটিতে নং ঢুকতে পারে না। রঙের সাথে প্রয়োজনীয় কেমিক্যালও ব্যবহৃত হয়। অনেক ক্ষেত্রে মোমের পরিবর্তে দড়িও ব্যাবহার করা হয়। তবে মোম ব্যাবহার করাটাই উত্তম। এর মাধ্যমে পোশাককে শোভাময় ও আকর্ষণীয় করে তোলা হয়। একে টাইডাই ও বলা হয়। বর্তমানে বাটিক পোশাকের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এর স্বতন্ত্র্য ডিজাইনের মাধ্যমে। গৃহিণীরা বাড়িতেও বাটিকের কাজ করে স্বাবলম্বী হতে পারে।

    ♦ বাটিক প্রিন্টের উপকরণ –

    *মোম
    * সুতা/দড়ি
    * প্রয়োজনীয় রং
    *তুলি
    *পানি
    *ট্রেসিং পেপার
    *ফ্রেম
    *আলপিন
    *কার্বন পেপার
    *এলজিনেট
    *লবণ
    *বড় হাঁড়ি
    *সোডিয়াম নাইট্রেট
    *রবিন ব্লু
    *সালফিউরিক অ্যাসিড
    *প্যারাফিন
    *স্বতন্ত্র ডিজাইন/নকশা
    *প্রয়োজনীয় জায়গা
    *সাবান

    বি.দ্র.- সবগুলা উপাদান নির্দিষ্ট পোশাকে প্রয়োজন নাও হতে পারে

    🏴🚩বাটিক প্রিন্ট কোন কোন পোশাকে করা যায়ঃ

    *পাঞ্জাবি
    *ফতুয়া
    *বেডসিট
    * শাড়ী
    *সালোয়ার কামিজ
    * থ্রী-পিচ
    *লুঙ্গি
    *কুসন কভার
    *শার্ট

    🗻 বাটিক প্রিন্টের প্রক্রিয়াঃ

    প্রথমে পোশাকে নকশা আঁকিয়ে নিতে হবে। পেন্সিল দিয়ে আঁকানোর পর এর উপর কলম দিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে নিতে হবে। যে অংশে কাজ করতে হবে, তা ফ্রেমের সাথে পিন দিয়ে আঁটকে নিতে হবে। চুলাতে ২ ভাগ মোম, ৪ ভাগ প্যারাফিন, ১ ভাগ রজন মিশিয়ে গলাতে হবে। গলে গেলে নঁকশার উপরে তুলির সাহায্যে উক্ত তরল লাগাতে হবে। নঁকশাতে গলন লাগানোর কাজ শেষ হলে কমপক্ষে ১ ঘন্টা পানিতে, অথবা ১২ ঘন্টা ছায়াযুক্ত স্থানে রাখতে হবে। হালকা গরম পানিতে রং মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর পরিমাণ মতন পানি, রং এবং কাপড় হাঁড়িতে নিয়ে ১৫/২০ মিনিট নাঁড়তে হবে৷ এরপর কাপড়টি ১ দিন শুকনো জায়গায় রাখতে হবে। অতঃপর, ঠান্ডা পানিতে ধুতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত মোম উঠে যায়। তাঁরপর কাপড় শুকিয়ে নিলেই তৈরি মনের মতন বাটিক।

    🗻 বাংলাদেশে বাটিক প্রিন্টের সম্ভাবনাঃ

    নতুন নতুন ডিজাইনের জন্য বাংলাদেশে বিপুল সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে বাটিক প্রিন্টের। খুবই অল্প বাজেটে এই শিল্পটি শুরু করা যায়। অনেকে বাড়িতেও বাটিকের কাজ করে সখের বশে। বাণিজ্যিকভাবে বাটিক প্রিন্টের কাজ শুরু করলে হতাশ হতে হবে না।

    Writer :

    Jannatun Yeasmin Jame.
    1st batch, Apparel Engineering.
    Sheikh Kamal Textile Engineering College, Jhenaidah

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments