Thursday, March 28, 2024
More
    HomeRMGমশারির আদ্যোপান্ত: মশার উপদ্রব থেকে প্রতিরক্ষায় মশারির ব্যবহার!

    মশারির আদ্যোপান্ত: মশার উপদ্রব থেকে প্রতিরক্ষায় মশারির ব্যবহার!

    আমরা সকলেই জানি  মশা থেকে প্রতিরক্ষার একটা সহজ ও কার্যকরী মাধ্যম হলো মশারির ব্যাবহার।  আমরা কখনো কি চিন্তা করেছি এর ইতিহাস সম্পর্কে?-যে মশারি কবে থেকে প্রচলিত,কারা ব্যাবহার করতো,মশারী জাল কি দিয়ে তৈরি!  চলুন আজকে আলোচনা করা যাক এ ব্যাপারে।

    মশারি ব্যাবহার এর ইতিহাসঃ

    মশারি জাল মূলত ম্যালেরিয়া সংক্রমনকারী ভেক্টর “অ্যানোফিলিস গাম্বিয়া” থেকে সুরক্ষার জন্য ব্যবহৃত হতো। মশারির ইতিহাস সুদীর্ঘ!  “মশারি” শব্দটির ব্যাবহার আঠারোতম শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হয়েছিল। মধ্যযুগের শেষের দিকের ভারতীয় সাহিত্যে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মশার জাল অথবা মশারি ব্যবহার উল্লেখ রয়েছে।আবার,প্রাচীনে পরিচিত একাধারে তেলেগুর সংগীত সুরকার এবং কবি “Annamaya” একটি কবিতা লিখেছিলেন”ডমাটেরা”(Domatera) নামে। যার অর্থ “মশারীর জাল”। আবার কথিত আছে, মশার জাল বা মশারির ব্যাবহার সেই ক্লিওপেট্রা, প্রাচীন মিশরের সর্বশেষ ফেরাউন ও মশারির অধীনে ঘুমিয়েছিলেন। এমনকি ম্যালেরিয়া জর্জরিত এলাকা এবং সুয়েজ খাল নির্মানেও মশারির ব্যাবহার হতো।

    এখন, আমরা জানবো মশারি কি দ্বারা তৈরী হতে পারে!

    সাধারণত মশারির জাল কটন,পলিইথিলিন,পলিয়েস্টার, পলিপ্রোপিন, নাইলন দ্বারা তৈরি হয়ে থাকে। মশারির জাল এর আকার ১.২ মিলিমিটার হলে তা মশা প্রবেশ হতে প্রতিরোধে সক্ষম! কিন্তু সবচেয়ে উপযোগী ও সেরা সমাধান হলো মশারি তৈরীতে পলিয়েস্টার এর ব্যাবহার!  পলিয়েস্টার (PES) হল মশার জালের জন্য স্ট্যান্ডার্ড ;কেননা এটি শক্তিশালী,কার্যকরী ও স্বল্পমূল্যের উপাদান যা সহজেই তৈরী করা যায়।

    এখন আসি বাংলাদেশে মশার উপদ্রব সমস্যা এবং করনীয় উপায় সম্পর্কে ঃ

    বাংলাদেশ বিশেষত এর রাজধানী ঢাকায় মশার সমস্যা আরো মারাত্মক আকারে ধারন করেছে। নগরবাসীদের অভিযোগ মশার নিয়ন্ত্রনে সিটি কর্পোরেশন তাদের কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তো নগরবাসীর মধ্যে প্রতিরক্ষা হিসেবে লিকুইড মসকুইটো রিপেল্টেন,অ্যারোসল ব্যবহার হলো অন্যতম।  কিন্তু মশার উপদ্রব অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি অয়াওয়ায় মশারি ব্যবহার অপরিহার্য!  কেননা নিজ বাসায় মশার হাত থেকে সহজে বাচার অন্যতম কার্যকরী মাধ্যম হল মশারি।
    এখন,জানা যাক আমাদের দেশে কি কি ধরনের মশারি প্রচলিত।

    বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মশারি দুই ধরনের। যথাঃ

    ১.বাংলা মশারি
    ২. ম্যাজিক মশারি।

    জানলে অবাক হবেন যে এ দুই ধরনের মশারিই  পলিয়েস্টার কাপড়ের জাল দিয়ে তৈরী। তাহলে এদের মধ্যে তফাৎ কোথায়?  তফাৎ  হলো সেলাইয়ে। বাংলা মশারির উপরের ও নিচের অংশে আলাদা কাপড় জোড়া দেয়া থাকে;যা জালের মতো নয়। কিন্ত ম্যাজিক মশারি পুরোটাই জাল জাতীয় কাপড় দ্বারা তৈরি এবং এটি অত্যন্ত সুক্ষ সুতা দিয়ে তৈরি।  যার কারনে খুব সহজে বাতাস প্রবেশ করতে পারে কিন্তু মশার প্রবেশ প্রতিরোধ করে। এ মশারির কাপড় মজবুত বেশি তবে ওজন কম। আবার এটির দাম ও সাধ্যের মধ্যে হওয়ায় আমাদের দেশে এর ব্যবহার  বৃদ্ধি পেয়েছে।

    আমরা হয়তো মশা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো না কিন্তু এর থেকে নিজেদের অন্তত খুব সহজেই প্রতিরোধ করতে পারবো মশারি ব্যবহার  বিশেষত ম্যাজিক মশারি ব্যাবহার  এর মাধ্যমে।
    তথ্য সূত্র ঃ উইকিপিডিয়ার, রেডক্রস.ইন,বিডি নিউজ ২০,ডেইলি স্টার

    Writer’s information :
    Mohamad Mohiminul Pritom
    Department of Textile Engineering (Batch-211)
    Green University of Bangladesh
    Email: [email protected]

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments