Friday, April 19, 2024
More
    HomeCareerBackward Linkage in Textile

    Backward Linkage in Textile

    বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের প্রায় ৮৪ শতাংশ অবদান রাখা বাংলাদেশের টেক্সটাইল এবং পোশাক শিল্প স্বাধীনতার পর থেকেই বিশেষ করে  ১৯৭৮ সাল থেকেই ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এই সেক্টরটি ৪৫ শতাংশেরও বেশি কর্মসংস্থান প্রতিনিধিত্ব করে। উল্লেখ্য টেক্সটাইল খাতের প্রবৃদ্ধি ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে বিশ্বের অন্যতম মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেছে।
    তবে বলে রাখা ভালো মুদ্রার এপিট যেমন আছে ঠিক তেমনি মুদ্রার ওপিঠ ও আছে।  

    এই রপ্তানিমুখী খাত সর্বদা কিছু সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে এবং এই সেক্টরের সবচেয়ে মারাত্মক হুমকি হলো দেশের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প।
    কি ভাবছেন কিভাবে??
    আচ্ছা একটা পরিসংখ্যান এর দিকে দৃষ্টি দেওয়া যাক,
    বর্তমানে ওভেন খাতে ৬০-৭০ শতাংশ ও সোয়েটারে ৮০-৮৫ শতাংশ কাপড় বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়, তাহলে বলাই বাহুল্য  ওভেন গার্মেন্টস রপ্তানি বড় অংশ ফ্যাব্রিক্স আমদানিতে ব্যয় হয়। সেই অঙ্ক রপ্তানি আয়ের সঙ্গে সমন্বয় করা হয় না। সরকার রপ্তানি আয়ের ভুয়া তথ্যে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছে। গার্মেন্টস মালিকরা ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির মাধ্যমে ভারত-চীন থেকে ফ্যাব্রিক্স আমদানি করে এবং সেই কাপড় দেশে এনে শুধু সেলাই করে পুনরায়  রপ্তানি করা হয়। এক্ষেত্রে তাহলে এবার ইকটু অংক কোষে দেখুন রপ্তানি আয়ের শতকরা প্রায় ৬০-৭০ শতাংশ অর্থ বিদেশে চলে যাচ্ছে অর্থাৎ মাত্র ৩০ ভাগ অর্থ দেশে আসছে।

    প্রায় ৫ মিলিয়ন (৫০ লাখ) শ্রমিক পোশাকশিল্পে কর্মরত এবং জিডিপি তে শতকরা প্রায় ১১.৪৯ শতাংশ অবদান রাখা রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পে  এমন অবস্থা চলতে থাকলে গোটা রপ্তানি বানিজ্যই মুখ থুবড়ে পড়বে এমতবস্থায় আমাদের কাজ করতে হবে গোড়া থেকে।
    শরীরের ভিত্তি কাঠামো সোজা উঁচু হয়ে দাঁড়াতে হলে যেমন মেরুদন্ড সোজা শক্ত পোক্ত হতে হয় ঠিক তেমনি দেশের অর্থনীতিতে ভুমিকা রাখা এই ব্যাপক সেক্টরটিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হলে অবশ্যই এর মূল থেকে আমাদের বৃহৎ পরিসরে কাজ করতে হবে।

    পৃথিবীর সবচাইতে মূল্যবান সম্পদ হচ্ছে সময় বলে রাখা ভালো বর্তমানে দেশের রাজধানী এবং বন্দরনগরী চট্রগ্রামে পুরোদমে চলমান প্রায় ৫ হাজার গার্মেন্টস কারখানার কাঁচামাল আসে দেশের পোশাকশিল্পের  সবচাইতে বড় বানিজ্যিক অংশীদার চীন থেকে যার দরুণ এতে সময় ও প্রডাকশন কস্ট দুটোই বেশি পরে আর এভাবে চলতে থাকলে স্বভাবতই বায়ার রা তাদের অর্ডার গুলো আমাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ গুলোতে সিফট করবেন এবং এর চূড়ান্ত ফলাফল দারাবে দেশের রপ্তানি শিল্পে সবচাইতে বেশি অবদান রাখা শিল্পের ধস।

    আমাদের ইন্ডাস্ট্রিগুলোকে সাসটেইনেবল এবং টিকসই করতে হলে প্রথমে যে কাজটা করতে হবে সেটা হলো Backward Linkage বা সহযোগী শিল্পকে স্বয়ংসম্পূূর্ণ করতে হবে৷
    আমরা প্রতিবছর প্রায় ৬ মিলিয়ন মিটার কাপড় আমদানী করছি গার্মেন্টস উৎপাদনের জন্য এবং পোশাক খাতের প্রায় ৪৬ ভাগ কাঁচামাল আসে শুধু চীন থেকে তাহলে ইক্টু ভেবে দেখেন এই বিপুল পরিমানের কাঁচামাল গুলো যদি নিজেরাই যোগান দিতে পারতাম তাহলে এ শিল্পে আরো কতো বেশি সমৃদ্ধ হতো।

    ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাথে তার সরবরাহ চেইনের সম্পর্ককে চিহ্নিত করে অর্থাৎ চূড়ান্ত গার্মেন্টস এর সকল কাঁচামাল আসবে একই দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলো থেকে।
    ব্যপার টি যদি আরেক্টু সহজ ভাবে বুঝানোর চেষ্টা করি তাহলে ব্যপার টি হবে ঠিক এমনঃ

    তুলা থেকে স্পিনিং এর মাধ্যমে সুঁতা,
    সুঁতা থেকে নিটিং কিংবা ওয়েভিং এর মাধ্যমে গ্রে-ফেব্রিক,
    গ্রে-ফেব্রিক থেকে ডায়িং,প্রিন্টিং কিংবা ফিনিশিং এর মাধ্যমে চূড়ান্ত গার্মেন্টস তৈরির প্রতিটি স্টেপ এ দেশীয়া কাঁচামাল ই ব্যবহৃত হবে কোন কিছুই বাইরের দেশ থেকে আমদানী হবে নাহ।  

    এটি যদি সম্ভব হয় তাহলে এই শিল্পে অসাধারণ বিপ্লব হবে এর সবি সম্ভব যদি এর গোড়া থেকে কাজ করা যায়ঃ

    প্রথমত তুলো উৎপাদনের দিকে নজর দিতে হবে এবং কৃষকরা কেনো তুলা উৎপাদনে উৎসাহি নয় তা চিহ্নিত করে তাদের কে যাথাযথ প্রণোদনা এবং সহায়তা করতে হবে যাতে করে বাংলাদেশ কে তুলার জন্যে ভারত, উজবেকিস্তান কিংবা পাকিস্তান এর উপর নির্ভর করতে না হয়।

    দ্বিতীয়ত নজর দিতে হবে স্পিনিং মিল গুলোতে যারা ফাইবার থেকে সুতা তৈরি করে বলে রাখা ভালো দেশীয় স্পিনিং মিল গুলো প্রায় শতকার ৮৫ শতাংশ সুতা দেশীয় গার্মেন্টস গুলোতে সাপ্লাই দেওয়ার সক্ষমতা রাখে তবে এ ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হয়ে দারায় দেশীয় স্পিনিং মিল গুলো থেকে সুতার কোয়ালিটি নিয়ে অসন্তুষ্ট থাকা গার্মেন্টস গুলোর সুতা কেনার অনীহা এবং একই কোয়ালিটি সম্পন্ন সুতা এবং কাপড় দেশীয় বাজার থেকে কেনার চাইতে আমদানিতে কম খরচ পরে বলে,
    সেক্ষেত্রে এখানে সরকার উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় প্রণোদনা দিয়ে কাপড়ের দামের পার্থক্য কমিয়ে আনতে পারেন । যাতে আমদানি দরের চেয়ে স্থানীয় মিল মালিকরা কম দামে বিক্রি করতে পারেন, সেজন্য সমহারে নগদ সহায়তা দেয়া। দ্বিতীয়ত, গার্মেন্ট মালিকদের আমদানি চাহিদার নির্ধারিত পরিমাণ কাপড় স্থানীয় মিল থেকে কিনতে বাধ্য করা।
    তাছাড়া টেক্সটাইল এক্সেসরিজো বেকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের  অন্যতম এবং বলে রাখা ভালো এ ক্ষেত্রে আমরা নিজেরাই প্রায় ৮০ শতাংশ চাহিদা মেটাতে সক্ষম।

    উপরোক্ত আলোচনা থেকে আশা করি আমরা কিছুটা হলেও আন্দাজ করতে পারবো,  
    দেশীয় পোশাকশিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত কাঁচামাল যদি আমরা নিজেরাই উৎপাদন করে RMG সেক্টর এ সাপ্লাই দিতে পারি তবে আমরা সিপমেন্ট কতো দ্রুত করতে পারবো এবং প্রোডাক্ট প্রাইস কতোটা কমিয়ে আন্তে সক্ষম হবো এবং দেশের সবচাইতে সফল সেক্টরটিকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করে Raw Materials গুলো আমদানী করা থেকে বাচাতে পারবো।

    পরিশেষে বলতে চাই এ শিল্পকে বাচাতে হলে উল্লেখ্য কাঁচামাল উৎপাদনকারী কারখানাগুলোকে যথাযথ সহযোগিতা, প্রণোদনা,ভর্তুকি দিতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংশ্লিষ্টদের  হস্তক্ষেপ একান্তই  কাম্য।

    WRITER INFORMATION:

    ARAFAT KHAN PRITOM

    CAMPUS AMBASSADOR
    Textile Engineers society (TES)
    Dr. M A Wazed Miah Textile Engineering College
    Email: [email protected]


    Sincerely,Arafat Khan Pritomphone: +8801312678164Email: [email protected]

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments