কলা আমাদের কাছে ফল বা প্রোটিনের উৎস হিসেবেই পরিচিত।বাহ্যিক ভাবেও এর কিছু ব্যবহার আছে যা আমাদের জানা থাকলেও অনেকেরই হয়তো জানা নেই। সাধারনত কলা গাছে কলা ধরার পরে কলা গাছ কেটে ফেলা হয় কিন্তু কলা গাছটির বাকল থেকেও পরবর্তীতে সুতা তৈরি করা যায়।
কলা গাছ থেকে সুতা তৈরির ব্যপার টা কিন্তু মটেও নতুন কোনো ঘটনা নয়,এই কাজটি হয়ে আসছে সেই ১৩ শতাব্দী থেকে জাপান ও নেপালে।বর্তমানে থাইল্যান্ড, দক্ষিন এশিয়া,ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন ও হাওয়াই সহ বেশ কিছু দেশে কলা গাছের ফাইবার থেকে প্রস্তুত কৃত পন্য দেশ ও দেশের বাইরেও বিপুল পরিমানে রপ্তানি করছে।
![](http://textileengineers.press/wp-content/uploads/2021/06/Image-1-1.jpeg)
কলা ফাইবারটি অনেকটা বাশ ফাইবার ও রামি ফাইবারের কাছা কাছি হলেও এর স্পিনিং ক্ষমতা ওই দুটির চেয়ে অনেক বেশি।এছাড়াও এটি প্রচুর মজবুত এবং ওজনেও হালকা।
কলা গাছ থেকে ফাইবার গুলোকে আলাদা করার জন্য এর ক্ষতি এড়াতে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি। গাছ থেকে বাকল গুলো পেচিয়ে বের করে মেশিনের ভেতরে চিরুনির মত খাজের সাহায্যে বাকল থেকে আশ ও সেলুলোজ আলাদা করা হয়। এই প্রসেসটি তুলনা মূলক সময়সাপেক্ষ। তারপর এগুলোকে পরিষ্কার করে শুকানো হয়। পরে সেখান থেকে তন্তু গুলো সংগ্রহ করা হয়।
![](http://textileengineers.press/wp-content/uploads/2021/06/Image-2-.jpeg)
এক সময় এই কলা গাছের ফাইবার এর ব্যবহার খুবই সীমিত ছিল আর দড়ি, মাদুর এবং কিছু হ্যান্ডি-ক্রাফট বাদে অন্য কিছু তেমন একটা তৈরি হতো না। বর্তমানে কলা গাছের ফাইবার থেকে শার্ট, প্যান্ট, গেঞ্জি, কাগজ ইত্যাদি তৈরি হচ্ছে। এছাড়াও জানলে অবাক হবেন যে, এই ফাইবারের পানি শোষন ক্ষমতা অনেক বেশি হওয়ায় এটি দিয়ে শিশুদের প্যাম্পারস ডাইপার সহ স্যানিটারি ন্যাপকিনও তৈরী করা হচ্ছে।দিয়ে শিশুদের প্যাম্পারস ডাইপার সহ স্যানিটারি ন্যাপকিনও তৈরী করা হচ্ছে।
তাই বর্তমান সময়কে কাজে লাগিয়ে কলা গাছের ফাইবার টেক্সটাইল সেক্টরকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও বর্তমান উদ্দোক্তারা চাইলে খুবই কম খরচে এর কাজ শুরু করতে পারে যা আমাদের দেশের অর্থনৈতিক খাতেও ভূমিকা রাখবে।
সূত্রঃ গুগল ও অনলাইন নিউজপোর্টাল
Writers Information:
MD Moallim Islam
Department of Textile Engineering
Southeast University