Thursday, April 25, 2024
More
    HomeLife Style & Fashionবিশ্বব্যাপী পোশাক সংস্কৃতি (পার্ট-১)

    বিশ্বব্যাপী পোশাক সংস্কৃতি (পার্ট-১)

    United Arab Emirates (সংযুক্ত আরব আমিরাত)

    সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও চাহিদা রয়েছে। দামে তুলনামূলক সস্তা, মানসম্পন্ন এবং রুচিশীল হওয়ায় এসব পোশাক আস্থা অর্জন করেছে দেশীয় প্রবাসী ক্রেতাদের পাশাপাশি আরবসহ অন্য দেশের প্রবাসীদের কাছেও।

    ইতিপূর্বে আমিরাতের বিভিন্ন প্রদেশের মার্কেট, সুপার মার্কেট এবং তৈরি  পোশাকের দোকানগুলোত ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক ও চীনের তৈরি পোশাকের বাজার একচেটিয়া দখলে ছিল। বর্তমানে এসব দেশের সঙ্গে  প্রতিযোগিতামূলক বাজারে পাল্লা দিয়ে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে বাংলাদেশি পোশাকও বিক্রি হচ্ছে দেদারছে।

    আমিরাতের বিভিন্ন মার্কেটে বাংলাদেশি পোশাক শিল্পের দোকানগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে এসব চিত্র। ব্যবসায়ী ও ক্রেতারাও জানালেন খুশির কথা। বিশেষ করে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের অপূর্ব ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত এবং বাংলাদেশি ব্যবসায়ী দ্বারা পরিচালিত আমিরাতের আজমানের নয়া মানা-ইয়ায় বাঙালি মার্কেট উল্লেখযোগ্য। যেখানে রয়েছে চার শতাধিক দোকান। প্রতিটি দোকানে রয়েছে বাংলাদেশের তৈরি শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট, পলো শার্ট, সালোয়ার-কামিজ, শাড়ি, লুঙ্গি, ফতুয়া, গেঞ্জি, গামছা তোয়ালে, পাজামা, পাঞ্জাবি, টুপিসহ বাচ্চাদের হরেক রকম পোশাকের অপূর্ব সমাহার।

    সউদি আরব, ওমান, কাতার, কুয়েত, ইরাক, ইরান, জর্দান এবং  বাহরাইনসহ মধ্যপ্রাচ্যের এবং ইউরোপ ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীরা এসব পোশাক কিনতে আসেন এখানে। প্রতিদিন এ মার্কেটে খুচরা ও পাইকারিভাবে লাখ লাখ দেরহামে বেচাকেনা হয় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক। পুরো আমিরাতে এক বাক্যে সবাই চেনেন এ মার্কেটটি। রয়েছে এর সুনাম ও সুখ্যাতি।

    এখানকার, ব্যবসায়ীরা এ প্রতিবেদককে জানান, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের প্রচুর চাহিদা থাকায় প্রতিমাসে বাংলাদেশ থেকে আসা দেশীয় পোশাকভর্তি ৪০-৫০টি কন্টেইনার খালাস করা হয় শুধু এ মার্কেটেই। তবে বাংলাদেশে এসব পোশাকাদি বেশি দামে কেনার পাশাপাশি জাহাজের মাধ্যমে পোশাকভর্তি এসব কন্টেইনার আনতে গিয়ে দেশীয় নৌবন্দরে অনেক সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়। এতে দেশীয় পোশাক এখানে আসা পর্যন্ত মূল্য অনেক বেশি পড়ে যায়। ফলে প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক বাজারদর এবং বাংলাদেশি পোশাকের চাহিদা ঠিক রাখতে গিয়ে কখনো কখনো লোকসান গুণতে হচ্ছে তাদের।

    প্রবাসী ব্যবসায়ীরা বলেন, সরকারের সুষ্ঠু ও সহজ ব্যবস্থাপনা এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি পোশাকের মূল্য, পরিবহন ভাড়া ও শুল্ক কমিয়ে ক্রেতা চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণে এখানে পোশাক শিল্প বাজারজাত করার ব্যবস্থা বা সুযোগ তৈরি করে দিলে সংযুক্ত  আরব আমিরাতে আরো ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হবে বাংলাদেশি পোশাক শিল্পের বাজার। সংযুক্ত আরব আমিরাত হতে পারবে মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশি পোশাক শিল্পের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাজার। অন্যদিকে, ব্যবসায়ীরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি দেশও আয় করবে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা।

    উল্লেখ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১০ লক্ষাধিক বাংলাদেশির বড় একটি অংশ দেশীয় পোশাক শিল্প ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আমিরাতের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব ব্যবসায়ীদের প্রাণের দাবি এখানে দেশীয় পোশাক শিল্পের বাজার সম্প্রসারিত হোক। দেশীয় প্রবাসীদের দাবি, আমিরাতে দেশীয় পোশাক সুলভে পাওয়ার ব্যবস্থা হোক।

    Writer Information:

    Sohag
    Department of Textile Engineering
    BGMEA University of Fashion & Technology(BUFT)

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments