Saturday, November 2, 2024
Magazine
More
    HomeTechnical Textileমেডিকেল টেক্সটাইল : বাংলাদেশের এক সম্ভাবনাময় খাত

    মেডিকেল টেক্সটাইল : বাংলাদেশের এক সম্ভাবনাময় খাত

    আমাদের অনেকেরই জানার আগ্রহ থাকে Medi tech কি ও মেডিকেল সেক্টরের কোন কোন কাজে আমরা টেক্সটাইল ব্যবহার করি। আজকে মেডি টেক নিয়ে মোটামোটি ধারনা আলোচনা করবো।


    মেডিকেল টেক্সটাইল কি?
    মেডিকেল টেক্সটাইল টেকনিক্যাল টেক্সটাইলের একটি অন্যতম টপিক। টেক্সটাইল ম্যাটেরিয়ালকে মেডিসিন,হেলথকেয়ার,পার্সোনাল কেয়ার ইত্যাদিতে প্রয়োগের আধুনিক প্রক্রিয়াকে মেডিকেল টেক্সটাইল বলে। মেডিকেল টেক্সটাইল হেলথকেয়ার টেক্সটাইল নামেও পরিচিত। মেডিকেল টেক্সটাইল বায়ো-মেডিকেল টেক্সটাইল হিসাবে পরিচিত যা আসলে টেক্সটাইল প্রযুক্তি এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের মিশ্রণ। মূলত, এই খাতটি টেক্সটাইল এর নিত্যনতুন উদ্ভাবন এর মাধ্যমে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থবিধি নিশ্চিত করে থাকে।
    মেডিকেল টেক্সটাইল এর যাত্রা শুরু কখন ও কিভাবে হয়েছিলো?
    চিকিৎসা ক্ষেত্রে কাপড়ের ব্যবহার হাজার হাজার বছর পূর্বে শুরু হয়, যখন ক্ষত বন্ধের কাজে কাপড়ের এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিলো । খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০- ৩০০০ তে অস্ত্রোপচারের অগ্রগতির সাথে এর আরো বিকাশ ঘটেছিল। এই ক্ষত ক্লোজারগুলো প্রাকৃতিক উপকরণ যেমন শণ, সিল্ক, লিনেন স্ট্রিপ এবং তুলা থেকে তৈরি। একটি পরিষ্কার ক্ষত বন্ধ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে এবং টিস্যুর টান কমাতে প্রাকৃতিক উপকরণ যেমন- তেল এবং ওয়াইনে লুব্রিকেটেড প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল। ক্ষত বন্ধ করার জন্য সৈনিক পিঁপড়াদের জঞ্জাল (চোয়াল) ব্যবহার করা হত। যা এখনো কিছু উপজাতি এবং পুরোনো আদিবাসীরা ব্যবহার করে থাকে। এগুলো অন্ত্রের শল্য চিকিৎসার ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের ক্লিপগুলো তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়েছিল। রোমান কর্নেলিয়াস সেলসাস স্টুচারস এবং ক্লিপগুলোর ব্যবহার সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন এবং আলেলিয়াস গ্যালেন ১৫০ খ্রিস্টাব্দে সিল্ক এবং ক্যাটগুট ব্যবহারের বর্ণনা দিয়েছেন। ভারতীয় প্লাস্টিক সার্জন সুশ্রুত শিয়াল, শণ এবং চুল থেকে তৈরি সিউন উপাদানের বিবরণ দিয়েছেন। ১৮০০ সালের দিকে জীবাণুমুক্তকরণ পদ্ধতির বিকাশের সাথে অবশেষে অস্ত্রোপচার এবং সিউন কৌশলগুলোতে আরও অগ্রগতি রেকর্ড করা হয়েছিল। সিনথেটিক পলিমার এবং ফাইবারগুলোর বিকাশের সাথে সিন্থেটিক স্টুচারগুলো চালু করা হয়েছিল।
    প্রায় ১০০ বছর পর, ২০২০ সালে, আবার আমরা একটা প্যানডেমিক পার করলাম। কোভিড -১৯ নামের এই ভাইরাসটি প্রায় ১৯৯ দেশকে প্রত্যক্ষভাবে আক্রমণ করে যাতে লাখ লাখ মানুষ মারা যায়। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম (পিপিই), ডিস্পোসাল গ্লাভস, মাস্ক পরতে হবে। এই সরঞ্জামগুলোর সব কিছুই মেডিকেল টেক্সটাইল এর অর্ন্তভুক্ত। মূলত, ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই এর জন্য এইগুলোই ছিলো প্রথম হাতিয়ার।

    কি ধরনের কাপড় মেডিকেল টেক্সটাইলে ব্যবহৃত হয় এবং এর কি কি বৈশিষ্ট্য থাকা জরুরী?

    মেডিকেল টেক্সটাইলে অনেক কাপড় ব্যবহৃত হয়। তবে প্রধানত ৪ ধরনের কাপড় বেশি ব্যবহৃত হয়। এগুলো হল:-

    WOVEN

    NON-WOVEN

    BRAIDED

    KNITTED

    মেডিকেল টেক্সটাইলে ব্যবহৃত কাপড় এর বৈশিষ্ট্য সমূহ :

    প্রধান বৈশিষ্ট্য :

    মেডিকেল টেক্সটাইল অবশ্যই অ-বিষাক্ত হতে হবে।
    এটি কোনভাবেই অ্যালার্জিক হওয়া যাবে না।
    এটি জৈব গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত।
    এটি হালকা এবং কোমল হওয়া উচিত।
    প্রয়োজনে এটি অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়া হওয়া উচিত।
    এটি অবশ্যই Living System এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
    এটি আরামদায়ক হওয়া উচিত।
    এটি ব্যবহারে শারীরিক ও রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যের কোনও পরিবর্তন হওয়া যাবে না।

    প্রয়োজনে আরো কিছু বৈশিষ্ট্য থাকতে পারে :

    প্রয়োজনে এটি Non-degradable হওয়া উচিত।
    যদি প্রয়োজন হয় তবে এটি তাদের দৈহিক আকারের যেমন, গুঁড়া ফর্ম, জলীয় ফর্ম, ফিল্ম, ফাইবার, স্পঞ্জসগুলিতে বহুমুখী হওয়া উচিত।

    প্রয়োজনীয় হলে এটি তরল প্রতিরোধী বা শোষণকারী হওয়া উচিত।
    মেডিকেল টেক্সটাইল অবশ্যই সুরক্ষা এবং ব্যাপ্তিযোগ্যতার উচ্চ বাধা হতে হবে।
    এটির বৈদ্যুতিক বা তাপ পরিবাহিতার সামথ্য থাকা উচিত।
    মেডিকেল টেক্সটাইল অবশ্যই অ-কারসিনোজেনিক এবং টেকসই হতে হবে।

    মেডিকেল সেক্টরে টেক্সটাইল এর কেমন পণ্য ব্যবহার করা হয়?

    Wound Care: এটি শরীরের ক্ষত স্থান থেকে রক্ত শোষণ রোধ করে।
    Bandages : ব্যান্ডেজগুলো শরীরের ক্ষতস্থানকে বাইরের ধুলাবালি ও জীবাণু থেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবহৃত হয়। ব্যান্ডেজ তৈরি করতে Woven, Non-woven ও Knitted ফেব্রিক ব্যবহার করা হয়।
    Human Textile : এটা মানব দেহের ক্ষতিগ্রস্থ অংশ প্রতিস্থাপনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটির আর একটি উদ্দেশ্য হল কৃত্রিম সুতোর সাহায্যে শরীর সেলাই করা যা এটিকে শরীরের একটি বাহ্যিক অঙ্গ হিসাবে কাজ করে। এটি শরীরের একটি বাহ্যিক অঙ্গ হিসাবে কাজ করে। তবে ক্ষতিগ্রস্থ অংশটি মানুষের কোষ থেকে তৈরি সুতা দিয়ে পূর্ণ হয়, তখন এটি সহজেই শরীরে মিশে যায় এবং কোনও অভ্যন্তরীণ সমস্যা সৃষ্টি করে না। নিচে এমন কিছু জিনিস সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হল :

    Extracorporeal Device : এই ডিভাইসটি একটি যান্ত্রিক অঙ্গ। এক্সট্রাকোরপোরিয়াল ডিভাইস যেমন :- Artificial Cleansing , Artificial Kidney, Artificial Liver ইত্যাদি। আধুনিক বস্ত্র প্রযুক্তি এক্সট্রাকোরপিয়াল ডিভাইস তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি এইগুলো পরিষ্কারেও ভুমিকা রাখে।
    Implantable Material: এই ধরণের উপাদানটি কৃত্রিম অঙ্গ তৈরি করে শরীরের ক্ষতিগ্রস্থ অঙ্গগুলি অপসারণ করতে ব্যবহৃত হয়।
    যেমন :

    Artificial Lungs: এটি রক্ত থেকে কার্বন ডাই অক্সাইডকে সরিয়ে দেয় এবং পরিষ্কার অক্সিজেন পরিবহনে সহায়তা করে। এটি তৈরি করতে ফাঁকা ভিসকোজ ব্যবহৃত হয়।
    Artificial Ligaments : এই চিকিৎসা যন্ত্রটি হাড়ের দুটি প্রান্ত সংযুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। ম্যান মেড ফাইবারের মতো পলিয়েস্টার ব্যবহার করে কৃত্রিম লিগমেন্ট তৈরি করা সম্ভব।
    Contact Lenses: আধুনিক কালের অন্যতম ব্যবহৃত টেক্সটাইল প্রযুক্তি। এ লেন্সগুলো চোখের রঙ পরিবর্তন করে এগুলোকে আরও আর্কষণীয় করে তোলে। এটি জল-শোষণকারী উপাদান দিয়ে তৈরি।
    যেমন : HEMA(Hydroxy Ethyl Metha Acrylate)
    Artificial Cornea : এই প্রযুক্তি অন্ধত্ব দূর করতে ব্যবহৃত হয়। এই ক্ষেত্রে ব্যবহৃত টেক্সটাইল উপকরণগুলো নমনীয় হতে হবে এবং পর্যাপ্ত যান্ত্রিক শক্তি থাকতে হবে।
    Artificial Kidney: ফাঁকা ভিসকোস, পলিয়েস্টার এটি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। রক্ত থেকে বর্জ্য অপসারণ করতে কৃত্রিম কিডনি ব্যবহার করা হয়।
    এছাড়াও কৃত্রিম ত্বক, স্টুচার ভাস্কুলার গ্রাফ্ট ইত্যাদি টেক্সটাইল উপাদানগুলো স্বাস্থ্যসেবাতে ব্যবহৃত হয়।

    মেডিকেল টেক্সটাইল এর বিশ্ব বাজার কেমন?

    ২০১২ সালে বিশ্ব মেডিকেল টেক্সটাইল বাজারের মূল্য ১৬৬৮৬.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২৫ সালের মধ্যে ৪.৯% হারে সিএজিআর-তে ২৩.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছানোর কথা বলা হয়েছে। ( সূত্র : প্রথম আলো)। এছাড়া গ্র্যান্ড ভিউ রিসার্চ, ইনক দ্বারা পরিচালিত নতুন রিপোর্টে বলা হয়েছে, এখন মার্কিন মেডিকেল টেক্সটাইল শিল্পের আয় পরবর্তী সময়কালে ৫.৩% হারে বৃদ্ধি পেতে পারে বলে ধারনা করা হয়েছে। এছাড়াও জার্মানি মেডিকেল টেক্সটাইল মার্কেটের মূল্য ২০১৯ সালে ১৮৫২.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল এবং পরবর্তী সময়কালে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং ২০২২ সালের মধ্যে চীনের বাজার ১৫৪৭.৪ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।
    এছাড়া বর্তমান যুগ, ন্যানো টেকনোলজি এর যুগ তাই ন্যানো টেকনোলোজি আধুনিক মেডিকেল টেক্সটাইল এ নতুন মাত্রা যোগ করছে। আধুনিক মেডিটেক এ জীবানুনাশক ফাইবার তৈরিতে ন্যানো টেকনোলোজি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। এ ক্ষেত্রে মেডিটেকে ব্যবহৃত ফাইবারকে ন্যানো সিনথেটিক ফাইবারের সাথে যুক্ত করে জীবানুনাশক ফাইবার তৈরি করা হয়। ন্যানো টেকনোলোজি এর বদৌলতে প্রাপ্ত জীবানু নাশক এজেন্ট বিভিন্ন বিষাক্ত উপাদান মানব শরীরকে রক্ষা করে। বিশ্বের বাজারে এইসব জিনিসের একটা বিশাল চাহিদা আছে, বর্তমানে শুধু যুক্তরাষ্ট এবং চীন একাই এটা নিয়ে কাজ করছে।

    মেডিকেল টেক্সটাইল সেক্টরে বাংলাদেশের অবস্থান কেমন?

    বাংলাদেশ মেডিকেল টেক্সটাইল এর জন্য বিশাল চাহিদা সম্পন্ন একটি দেশ। কারণ, বাংলাদেশের জনসংখ্যা অনেক বেশি। মেডিকেল টেক্সটাইল শিল্পে সুযোগটিও দুর্দান্ত। বেসরকারী খাতের স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় বাজারের ৭০% এর চেয়ে বেশি যা তুলনামূলকভাবে উন্নয়নশীল দেশগুলোর পাশাপাশি উন্নত দেশগুলোর চেয়ে অনেকাংশে বেশি। তাই, বেসরকারী হাসপাতাল খাতও দ্রুত বর্ধমান। স্বাস্থ্যসেবা রোগীদের উচ্চ আয়ের দ্বারা পরিচালিত হয় যাদের বিশেষত স্বাস্থ্য-সচেতনতাও রয়েছে। প্রতিরোধমূলক যত্ন এবং চিকিৎসা বৃদ্ধি কেবল ডায়াগনস্টিক বাজারে নয়, হাসপাতালের বাজারেও একটি সুযোগ তৈরি করে কারণ বর্ধিত রোগ নির্ণয়ের ফলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বাড়ে। কিন্তু বাংলাদেশের মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আছে যারা বিশ্বের বাজারে মেডিকেল টেক্সটাইল সরবরাহ করেন। এগুলো হল :

    স্মার্ট গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিস ;
    নাসির অ্যান্ড সন্স বাংলাদেশ ;
    ই-বাইক পরিবহন কর্পোরেশন ;
    আবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ;
    সাগর ট্রেডার্স।


    বাংলাদেশের এই নির্মাতারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, ভারত, লেবানন, শ্রীলঙ্কা এবং নাইজেরিয়ার মতো অনেক দেশে তাদের পণ্য সরবরাহ করে। এছাড়া, স্নোটেক্স, আমান গ্রুপ, উর্মি গ্রুপ ইত্যাদি গ্রুপ দেশের চাহিদা পূরনের জন্য মাস্ক ও পিপিই সরঞ্জাম বানায়।

    মেডিকেল টেক্সটাইল নিয়ে এগিয়ে গেলে বাংলাদেশকে কেমন চ্যালেঞ্জ এর মোকাবিলা করতে হবে?

    করোনার সুরক্ষা সরঞ্জামের ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড সংস্থা এএসটিএম ইন্টারন্যাশনাল, কোভিড -১৯ এর পরবর্তী জনস্বাস্থ্য জরুরী অবস্থা মোকাবেলায় ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম (পিপিই) উৎপাদন ও পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত সরঞ্জাম বিনা খরচে পাবলিক অ্যাক্সেসে সরবরাহ করছে। এছাড়াও সিমস- ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর ইউএস সিমস প্রোডাক্টস ইন্ডাস্ট্রি পিপিই সরবরাহকারী চেইনের সাহায্যে সোর্সিং এজেন্টদের সারিবদ্ধ করে ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জামের (পিপিই) ঘাটতি মোকাবেলায় সহায়তার জন্য কাজ করছে। বাংলাদেশের ও কয়েকটি ইন্ডাস্ট্রি চিকিৎসক ও করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য পিপিই, হ্যান্ড গ্লাভস ও মাস্ক তৈরি করছে। আশা করা যায় খুব শীঘ্রই আমরা এ সকল সমস্যা থেকে বের হয়ে আসতে পারবো। এছাড়া যেহেতু, ন্যানোটেকনোলজি নিয়ে কাজ করলে বিশ্বের বিরাট এক বাজার ধরার সম্ভাবনা আছে তাই এ নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে বাংলাদেশের।

    References :


    Wikipedia
    Bunon
    Daily Prothom Alo
    Textile Today
    Textile Wave

    Written by:


    Md. Nazmul Hasan Nazim

    Member of TES
    National Institute of Textile Engineering and Research
    Batch: 10th

    RELATED ARTICLES

    1 COMMENT

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    Related News

    - Advertisment -

    Most Viewed