Tuesday, April 23, 2024
More
    HomeBusinessএকজন মারচেন্ডাইজারের দায়িত্ব !!

    একজন মারচেন্ডাইজারের দায়িত্ব !!

    গার্মেটসে শুধু পোশাক উৎপাদন করাই মূখ্য বিষয় নয়। এইসব পোশাক আমরা মানুষের জন্য তৈরি করছি। কিন্তু ভোক্তা পর্যায়ে এই পোশাক সরাসরি কারখানা থেকে যায় না। মাঝখানে অনেকগুলো ধাপ থাকে। এর মধ্যে একটি হলো বায়ার। যারা বিভিন্ন গার্মেন্টসে তাদের চাহিদা অনুযায়ী পোশাক এর অর্ডার করবে। আর তাদের অর্ডারের ভিত্তিতেই শুরু হবে পোশাক তৈরির মূল প্রক্রিয়া। এখানে মাধ্যম দুটি। বায়ার হলো ক্রেতা এবং গার্মেন্টস গুলো বিক্রেতা। গার্মেন্টসের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি হিসেবে একজন মার্চেন্ডাইজার অর্ডার গ্রহন করা থেকে শুরু করে একেবারে শিপমেন্ট করা পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়ার দায়িত্বে থাকেন। এছাড়াও আরো কিছু প্রক্রিয়া আছে যেগুলো আমরা আলোচনা করব।

    এর আগে আমাদের কিছু ইংরেজি শব্দের সংক্ষিপ্ত এবং পুরো ফর্ম জেনে নিতে হবে।কারণ সামনের আলোচনায় আমরা এগুলো ব্যবহার করব।

    CAD – Computer-Aided Design
    SMV – Standard Minute Value
    PD – Product Development
    CS – Counter sample
    LC – Letter of credit
    PO – Product order
    FOB – Free on Board
    IE – Industrial Engineering

    অর্ডার পাওয়া এবং সেই মোতাবেক পণ্য উৎপাদন করার পুরো বিষয়টি খুব একটা সহজ নয়। একটি কোম্পানির মার্চেন্ডাইজারের ওপর দায়িত্ব থাকে যে সে বায়ারদের থেকে অর্ডার গ্রহন করবে এবং পণ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে শিপমেন্ট করা অবদি পুরো প্রক্রিয়াটি সফল ভাবে সম্পন্ন করবে।

    মার্চেন্ডাইজার প্রথমে বায়ার এর প্রতিনিধির কাছ থেকে পণ্য সম্পর্কিত সব ধরনের তথ্য নিবে এবং সেই তথ্য গুলো PD বিভাগে পাঠিয়ে দিবে। এর আরেক নাম সেম্পল সেকশন। যারা ওই তথ্য অনুয়ায়ী পণ্যের সেম্পল তৈরি করবে।সেখান থেকে প্যাটার্ন নির্মাতা পণ্যটির একটি মডেল তৈরি করবে। তারপর মডেলটি আবার CAD বিভাগে পাঠানো হবে। এই মডেলটির ফ্যাব্রিক এবং উপাদান গুলোর প্রকৃত খরচ জানা যাবে CAD বিভাগ থেকে।

    CAD এবং IE বিভাগের হিসাবের পর পণ্যটির একটি আনুমানিক মূল্য নির্ধারন করা হয়। মার্চেন্ডাইজার বায়ারদের কাছে একটি মূল্য বলে এবং সেটি নিয়ে আলোচনা করে। অনেক সময় দেখা যায় যে পণ্যটি যদি নতুন কোন স্টাইলের হয় তাহলে বায়াররা দাম একটু কমিয়ে দিতে বলে। যখন তারা মনে করে যে দামটি সাধ্যের মধ্যে তখন তারা কোম্পানিকে বলে সেম্পল প্রদদর্শন করতে। বায়ারদের প্রতিনিধিরাও অনেক সময় পোশাকের আাকার আকৃতি, স্টাইল, উপকরন পরিবর্তন করেন যাতে করে একটি সুন্দর আউটলুক এবং ভালো মূল্য নির্ধারন করা যায়। যখন তাদের সবকিছু ঠিক মনে হয় এবং পছন্দ করে তখন তারা কোম্পানির সাথে কন্ট্রাক সিল করে।

    কন্ট্রাক্ট সিল এর মানে হলো গার্মেন্টস কোম্পানি বায়ারদের কাছ থেকে অর্ডার সম্পূর্ণ রূপে বুঝে পেয়েছে এবং উৎপাদন শুরু করে দিয়েছে। এবং তাদেরকে খুব পরিশ্রম করতে হবে যেনো অর্ডার ডেড লাইনের আগেই উৎপাদন চেষ করতে পারে। কারণ চুক্তিতে উল্লেখিত সময়ের মধ্যে অর্ডার শিপমেন্ট করতে না পারলে সেটা কোম্পানির জন্য ভালো নয়। তাই এই বিষয়ট মাথায় রাখা জরুরি।

    অর্ডার কমপ্লিট হওয়ার পর সেটাকে ডেলিভারি করতে হবে। সাধারণত একদেশ থেকে আরেক দেশে অর্ডার সাপ্লাই করতে নৌপথ ব্যবহার করা হয়। আবার স্থলপথে ব্যবস্থা থাকলে সেই ভাবেও ডেলিভারি করা যায়। কিন্তু যদি কোম্পানি গুলো নির্দিষ্ট সময়রে মধ্যে অর্ডার কমপ্লিট করতে না পারে তখন তারা আাকাশ পথে ডেলিভারি করে থাকে। এবং এটি খুব ব্যায় বহুল। সময় বাঁচানোর জন্য এই মাধ্যম বেছে নেয়া হয়। আর এর পর অর্থের লেনদেন করা হয় LC ট্রান্সজেকশন মাধ্যমে।

    Writer Information:

    Name: Arnob Saha
    Institute: Primeasia University
    Batch: 201

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments