Friday, March 29, 2024
More
    HomeFiberজাতীয় আঁশ এবং মেকানিক্যাল প্রসেসিং

    জাতীয় আঁশ এবং মেকানিক্যাল প্রসেসিং

    বর্তমান সময়ে ” ইঞ্জিনিয়ার ” একটি সম্ভাবনার নতুন নাম। ইঞ্জিনিয়ারিং এর সাথে সাথে মেকানিক্যাল বিষয় টা ওতোপ্রোতো ভাবেই জড়িত। কারণ মেকানিক্যাল প্রসেসিং বিভাগের প্রসেসিং সমূহ ও মেশিনারি জিনিসপত্র ছাড়া ইঞ্জিনিয়ারিং কল্পনাও করা যায় না।

    🔀 বিশ্ব যখন ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে থাকে, ঠিক সেই সময় টেক্সটাইল জগত একটু আশার আলো নিয়ে ভবিষ্যতের সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তকে আরও উন্মুক্ত করে। এই রকম ভাবে মেকানিক্যাল প্রসেসিং বিভাগ নতুন নতুন মেশিনারি উদ্ভাবন ও পাটজাত পণ্য উৎপাদন এর সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখাচ্ছে টেক্সটাইল জগতকে এবং তার সাথে সাথে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কে সমৃদ্ধ করছে।

    📖 পাটকে বলা হয় “সোঁনালি আশ”। এই পাট কে নিয়ে নতুন নতুন সম্ভাবনা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। পাটের বহুমূখী পণ্য উৎপাদন এদেশের জন্য এক ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।

    ↪ মেকানিক্যাল প্রসেসিং বিভাগ পাটের যান্ত্রিক প্রক্রিয়াজাত করণ কাজের সাথে জড়িত। এর তত্তাবধানে তিনটি শাখা কাজ করে থাকে।

    ▪ স্পীনিং শাখা
    ▪ উইভিং শাখা
    ▪ মেশিনারি ডেভেলপমেন্ট এন্ড মেইনটেন্স শাখা

    এই শাখা গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি শাখা হলো মেশিনারি ডেভেলপমেন্ট এন্ড মেইনটেন্স শাখা।

    ☑ এই শাখার উদ্দেশ্যঃ

    ▪ পাট নিয়ে গবেষণা করার জন্য মেশিনারি উদ্ভাবন ও উন্নয়ন সাধন করা
    ▪ কারিগরি উইং এর সকল মেশিনারির যান্ত্রিক রক্ষণাবেক্ষণ ঠিক মতো করা।
    ▪ জুট রিইনফোর্সড কম্পোজিট মেটারিয়ালের উন্নয়ন, উদ্ভাবন ও উৎপাদন করা।

    ▶ পাট নিয়ে এই বিভাগঃ

    ▪ প্লাস্টিকের ব্যবহার যখন বর্তমান সময়ে পরিবেশ দূষণের মতো খারাপ প্রভাব ফেলছে, তখন পাটজাত পণ্য পরিবেশ এর অনূকূলে কাজ করছে।
    ▪ এই বিভাগ পাটের যান্ত্রিক প্রক্রিয়াজাত করণের মাধ্যমে পাটের বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনে ব্যাপক ভাবে সহায়তা করছে।
    ▪ গবেষণার ক্ষেত্রে মেশিনারি উদ্ভাবন ও উন্নয়ন করে থাকে। যার ফলে পাটের যুগান্তর পরিবর্তন ঘটে থাকে।
    ▪ কারিগরি সকল মেশিনারি যান্ত্রিক রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে।
    ▪ অর্জিত কিছু সাফল্য যেমনঃ পাট হতে উন্নত মানের জায়নামাজ তৈরি, জুট ফেল্ট উদ্ভাবন ইত্যাদি

    ☣ অন্যান্য ক্ষেত্রে মেশিনারি ডেভেলপমেন্ট এন্ড মেইনটেইন্স এর বর্তমান প্রেক্ষাপটঃ

    ▪ বর্তমান সময়ে বস্ত্রখাতকে নিয়ে বর্হিবিশ্বে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বস্ত্র লেনদেন নিয়ে অন্যান্য দেশগুলো ভালো মানের ইচ্ছা পোষণ করে থাকে। এমন অবস্থায় টেক্সটাইলে যেসকল যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় সেসকল বিষয়ে আমাদের নলেজ খুব কম,যার জন্য আমাদের বিদেশি ইঞ্জিনিয়ার এর সহায়তায় আসতে হয়।

    তাই যদি মেশিনারি ডেভেলপমেন্ট বিষয়টি বাংলাদেশে ব্যাপক ভাবে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ করে দেওয়া হয়, তাহলে আমাদের আর বিদেশি ইঞ্জিনিয়ারদের দরকার হবে না। যার ফলে আমরা বিরাট একটা অর্থ বিদেশে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারবো।

    ▪ টেক্সটাইল এর মেশিনারি গুলো বেশির ভাগই বিদেশ থেকে আমদানি করা। যার জন্য এ-ই মেশিনারি গুলো মেইনটেইন্স করার জন্য বিদেশি এক্সপার্ট দের দরকার হয় এবং এটি ব্যয়বহুল বটে। যদি এই দেশেই টেক্সটাইল সম্পর্কিত মেশিনারির সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে দক্ষ কারিগর গড়ে তুলতে পারি, তাহলে অর্থ সঞ্চয়ের পাশাপাশি টেক্সটাইলে আরও উন্নয়ন করতে পারবো।

    ▪ এই দেশে টেক্সটাইল মিলে দূর্ঘটনা ঘটা একটি অহরহ ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। এটি সাধারণত ঘটে থাকে অদক্ষ শ্রমিক দ্বারা মেশিনারি গুলো নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে। যদি দক্ষ একজন ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা মেশিনারি গুলো নিয়ন্ত্রণে আনা যায় তাহলে আমরা অনেক বড় দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে পারি।

    ▪ কিছু কিছু মিলস মালিক আছে যারা অল্পতেই বেশি লাভের আশায় পুরাতন মেশিনারি ব্যবহার করে।
    যার ফলে যেকোনো সময়ে দূর্ঘটনা ঘটে থাকে।
    যদি মেশিনারি গুলো ডেভেলপমেন্ট করা যায়, তাহলে দূর্ঘটনা এড়িয়ে যাওয়া সহ, বেশি ইনকামের একটা নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।

    ✅ উদাহরণ স্বরূপ আমরা বলতে পারি যে, বাংলাদেশের আমদানি রপ্তানি পরিসংখ্যানে রপ্তানিতে চামড়া কে ছাড়িয়ে ১ম বার ২য় স্থানে উঠে এসেছে পাট খাত। ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে(জুলাই-এপ্রিল) পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি করে ৭৯ কোটি ১৩ লাখ ডলার আয় হয়েছে। যা টাকার অংকে ৬ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে যা ১৪ শতাংশ বেশি। আর চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৭ শতাংশ বেশি।

    আরও কিছু কিছু বিষয় আছে যেগুলো মেশিনারি ডেভেলপমেন্ট এন্ড মেইনটেইন্স এর মাধ্যমে বর্তমান টেক্সটাইল কে আরও উন্নত করা সম্ভব হবে।

    ⏏ এই জন্য আমাদের মেশিনারি ডেভেলপমেন্ট এন্ড মেইনটেইন্স এর ব্যাপারে প্রচুর জ্ঞান অর্জন করতে হবে এবং এদেশে দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করতে হবে।
    তার সাথে সাথে এদেশের টেক্সটাইল কে বর্হিবিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে।

    তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া।

    লেখক:

    মোঃ সালমান ফারসি
    ওয়েট প্রসেস ডিপার্টমেন্ট(১ম ব্যাচ)
    ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ পীরগঞ্জ, রংপুর।

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments