গার্মেন্টস লেবেলের আদ্যোপান্ত

0
1070

আমরা যখন মার্কেটে পোশাক কিনতে যায় তখন পোশাকে গায়ে কিছু কাপড়ের টুকরো যুক্ত করা দেখতে পায়। কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন এই কাপড়ের টুকরোগুলো কি নির্দেশ করে? পোশাকের গায়ে কাপড়ের টুকরোগুলো লাগানোর উদ্দেশ্য বা কি? এইগুলো মূলত কাপড়ের টুকরো নয়, এইগুলোকে গামেন্টস লেবেল বলে।

গামেন্টস লেবেল কি?

গামেন্টস লেবেল হলো যে লেবেলের মাধ্যমে পোশাকের ব্রান্ডের নাম, আকার, ধৌতকরণ পদ্ধতি, মূল্য ইত্যাদি বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা পাওয়া যায় তাকে গামেন্টস লেবেল বলা হয়।

লেবেলের প্রকারভেদঃ

গামেন্টস লেবেল ২ প্রকার।
১. মেইন লেবেল
২. সাব লেবেল

মেইনলেবেল ( Main Label) : মেইন লেবেলকে ব্র্যান্ড লেবেলও বলা হয়, কারণ মেইন লেবেলে ব্র্যান্ডের নাম, লোগো দেওয়া থাকে। যেমনঃ H&M

মেইন লেবেল ক্রেতাদের জন্য বড় ভূমিকা পালন করে কারণ ক্রেতারা সবসময় ব্র্যান্ডের পোশাক কিনতে পছন্দ করে।আর মেইন লেবেলে ব্র্যান্ডের নাম, লোগো দেওয়া থাকে বলে ক্রেতারা মেইন লেবেল দেখে সহজেই নিজেদের পছন্দমতো ব্র্যান্ডের পোশাক কিনে নিতে পারে।

সাব লেবেল ( Sub Label) :

সাব লেবেল ৬ প্রকার।
১. কেয়ার লেবেল
২. সাইজ লেবেল
৩. কম্পোজিশন লেবেল
৪. প্রাইজ লেবেল
৫. ফ্লাগ লেবেল
৬. স্পেশাল লেবেল

.কেয়ারলেবেল ( Care Label): গামেন্টস জন্য কেয়ার লেবেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেয়ার লেবেলে কাপড় কিভাবে যত্ন নিতে হবে তার সম্পর্কে ধারণা দেওয়া থাকে। এখানে কাপড়ের যত্ন বলতে বোঝানো হয়েছে কাপড়কে সবোর্চ্চ কত তাপমাত্রায় ধৌত করতে হবে, শুকাতে হবে এবং আয়রনিং করতে হবে তা লেবেলর নির্দেশিত চিহ্ন দিয়ে প্রকাশ করা হয়।

সাইজলেবেল ( Size Label ) :  সাইজ লেবেল একটি পোশাকের আকার কে নিদের্শ করে। সাইজ লেবেলগুলো  S, M, L, XL হয়ে থাকে।

কম্পোজিশনলেবেল ( Composition Label) :  কম্পোজিশন লেবেলে এজটি পোশাকের মধ্যে কি কি উপাদান রয়েছে তা সংক্ষিপ্ত আকারে ধারণা দিয়ে থাকে। যেমনঃ 95% Cotton, 5% Spandex ইত্যাদি। মোটকথা, পোশাকে মূল উপাদানগুলো পরিমাণ আকারে সামগ্রিক ধারণা দিয়ে থাকে কম্পোজিশন লেবেল।

৪.প্রাইজলেবেল ( Price Label) :  প্রাইজ লেবেল পোশাকের খুচরা মূল্যকে নিদের্শ করে। যার মাধ্যমে ক্রেতারা যেকোনো পোশাকে মূল্য জানতে পারে।

.ফ্লাগলেবেল ( Flag Label) : ফ্লাগ লেবেল খুবই ছোট ধরনের লেবেল। এই লেবল এর মধ্যে ব্র্যান্ডের নাম ও লোগো থাকে। এই লেবেলটি পোশাকের নিচের অংশের দিকে থাকে।

৬. স্পেশাললেবেল ( Special Label):  
কখনো কখনো ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্য পোশাকে স্পেশাল লেবেল ব্যবহার করা হয়।স্পেশাল লেবেল গুলোতে ১০০% কটক, ১০০% তুলা, ১০০% রেশম ইত্যাদি তথ্য দেওয়া থাকে।

একটি ভালো মানের পোশাক কেনার উদ্দেশ্য পোশাকের গায়ে লাগানো লেবলগুলো সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই সামগ্রিক ধারণা রাখা উচিত। যার ফলে আমরা নিজেদের পছন্দ মতো ব্র্যান্ডের পোশাক কিনতে পারবো।

তথ্যসূত্রঃ www.textilelab.com www.garmentsmerchandising.com

Writer 
MD Mehedy Hasan 
Dept. of Textile Engineering ( 3rd Batch)
Jashore University of Science and Technology

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here