Friday, March 29, 2024
More
    HomeSpinningস্পিনিং সিরিজ: BLOW ROOM PART -4

    স্পিনিং সিরিজ: BLOW ROOM PART -4

    ব্লো-রুম

    (৪র্থ পর্ব)

    ফয়সাল আহমেদ , ৬ষ্ঠ ব্যাচ, নিটার :

    কার্ডিং মেশিন ম্যাটারিয়াল ফিডিং ২ ভাবে হয়ে থাকে।যেমনঃ

    ১। ল্যাপ ফিডিং

    ২। চুট ফিডিং

    ১। ল্যাপ ফিডিংঃ

    কারডিং মেশিনে ল্যাপ ফিডিং একটি গতানুগতিক ব্যবস্থা।

    ব্লো-রুমের মেশিন স্কাচারের ল্যাপ ফরমিং ইউনিটে ল্যাপ তৈরি হয় যা পরবর্তীতে কার্ডিং মেশিনে ফিড হয়। এই পদ্ধতিকেই ল্যাপ ফিডিং বলা হয়ে থাকে।

    ২। চুট ফিডিংঃ

    এই পদ্ধতি একটি আধুনিক পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে ল্যাপ তৈরির প্রয়োজন নাই। স্কাচার মেশিন থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গুচ্ছের মতো আশসমূহ বাতাসের টানে পাইপের মাধ্যমে চুট চেম্বারে প্রবেশ করে, যা কন্ডেন্সারের মাধ্যমে ল্যাপের মতো শীট আকারে ফিড হয়।

    চুট ফিড সিস্টেম প্রকার। যেমনঃ

    ১। ওয়ান পিস চুট

    ২। টু পিস চুট

    কার্ড ফিডিং মেশিনের গুরুত্বঃ

    ১। ল্যাপ তৈরি করে একস্থান থেকে অন্য স্থানে বহনে সহজ ও সুবিধাজনক।

    ২। চুট ফিড সিস্টেমে ল্যাপ অথবা তুলা বহন করার প্রয়োজনই হয় না

    ৩। চুট ফিডিং সিস্টেমে কার্ড ফিডিং একটি পর্যাক্রমিক ধাপ। এতে সময়ের অপচয় হয় না

    ৪। দক্ষতা বৃদ্ধি পায়

    ৫। উৎপাদন খরচ কম হয় ।

    ল্যাপ ফরমিং মেশিনের উদ্দেশ্যঃ

    ১। নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের সুষম ল্যাপ তৈরি করা

    ২। আঁশের গুচ্ছসমূহকে যতদূর সম্ভব ছোট পর্যায়ে আনয়ন করা

    ৩। আঁশে অবশিষ্ট ময়লা ও অপদ্রব্য দূর করা

    ৪। বহনের সুবিধার্থে ল্যাপ পিনের পৃষ্ঠে উৎপাদিত ল্যাপকে জড়ানো

    ৫। যাতে সহজে খুলে না যায় তার জন্য খুব কমপ্যাক্ট করে ল্যাপ তৈরি করা হয়

    ক্রিশনার বিটারের উদ্দেশ্যঃ

    ১। তুলা আঁশ যতটুকু সম্ভব খুলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গুচ্ছে পরিনত করা

    ২। সব প্রকার অপদ্রব্য যতটুকু সম্ভব দূর করা

    ৩। সুষম ফিডের মাধ্যমে স্তরের আশসমূহ ডেলিভারি দেওয়া ।

    পিয়ানো ফিড রেগুলেটরের উদ্দেশ্যঃ

    ১। স্কাচারে সুষম ভাবে আঁশ ফিড করা

    ২। আঁশের স্তরে মোটা-পাতলা অর্থাৎ ফিড রোলারের গতি আঁশের স্তর মোটা হুলে কমিয়ে ও পাতলা হলে বাড়িয়ে ফিড নিয়ন্ত্রন করা

    ৩। শেষ বিটিং পয়েন্টে ব্যবহার করে উৎপাদিত ল্যাপ সুষম করা ।

    হপার ফিডারের উদ্দেশ্যঃ

    ১। আঁশের গুচ্ছকে যথাসম্ভব খোলা

    ২। তুলার আঁশ সমূহকে ময়লা সমূহ থেকে আলাদা করা

    ৩। তুলার ময়লাসমূহ আংশিক দূর করা।

    ক্রিশনার বিটারের ঘূর্নন গতি ৭৫০ থেকে ৮৫০ বার।

    ল্যাপ লেংথ ও ল্যাপ কনস্ট্যান্ট এর মধ্যে সম্পর্কঃ

    ল্যাপ লেংথ= (ল্যাপ লেংথ কনস্ট্যান্ট/ চেইঞ্জ পিনিয়নের দাঁত সংখ্যা)

    লেংথ মোশনঃ

    যে মোশনের সাহায্যে ল্যাপের দৈর্ঘ্যকে নির্দিষ্ট করে রাখা হয় তাকে লেপ লেংথ মোশন বলে।

    স্কাচার অপারেশনের ফ্লোচার্টঃ

     কন্ডেন্সার

     ↓

    হপার ফিডার

     ↓

    ফিড রেগুলেটিং ইউনিট

    টু অথবা থ্রী ব্লেডেড বিটার

    কন্ডেন্সার কেইজ

    ফিড রেগুলেটইং ইউনিট

    ক্রিশনার বিটার

    ল্যাপ ফরমিং

    ডাস্টঃ

    ডাস্ট বলতে বুঝায় সাধারণত তুলার মধ্যে আঁশ ভিন্ন অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বা ফরেইন ম্যাটার যা ওপেনিং ও ক্লিনিং এর মাধ্যমে দূর হয়। যেমনঃ বীজের খোসা ,ভাঙ্গা ও মরা পাতা, কুঁড়ি,ধুলাবালি , ময়লা , বীজের টুকরা , ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আঁশ , নেপ , মাইক্রোডাস্ট ইত্যাদি ।

    ডি-ডাস্টিংঃ

    বাতাসের প্রবাহের মাধ্যমে ডাস্ট চেম্বারে পরে থাকা ডাস্টকে অন্যত্র সয়ংক্রিয়ভাবে সরিয়ে নেওয়ার পদ্ধতিকে ডি-ডাস্টিং বলা হয় ।

    ডাস্ট-রিমুভালঃ

    ওপেনিং ও ক্লিনিং মেশিনারী থেকে প্রাপ্ত অপদ্রব্য, কন্টামিনেটেড ম্যাটার ইত্যাদি মেশিন থেকে আলাদা করে ফিল্টার দ্বারা ছেকে বাতাসে ছেড়ে দেওয়াকে ডাস্ট-রিমুভাল বলে।

    ডাস্ট-কালেকশনঃ

    যে পদ্ধতিতে ব্লো-রুমের বিভিন্ন ওপেনিং ও ক্লিনিং মেশিন থেকে উৎপাদিত ডাস্টসমূহ নির্দিষ্ট স্থানে বা রুমে সংগ্রহ করা হয় তাকে ডাস্ট কালেকশন বলে।

    ডাস্ট কালেকশন পদ্ধতিঃ

    ১। মেশিনের পাশে ব্যাগ বেঁধে

    ২। ফিল্টার কক্ষে জমা করে

    ৩। বহির্গমন পাইপের মাধ্যমে সংগ্রহ করে

    ডাস্ট কালেকশন ও ডি-ডাস্টিং এর গুরুত্ব ঃ

    ১। ডাস্ট কালেকশন করার ফলে মিলের অভ্যন্তরে ফ্লাই কমে যায় এবং পরিবেশ ভাল হয়।

    ২। এর ফলে বায়ু দূষণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

    ৩। ডাস্টসমূহ বাই-প্রোডাক্ট হিসেবে অন্যত্র ব্যবহার করা সম্ভব।

    ৪। ডাস্ট সমূহ বাতাসে না ছেড়ে কালেকশন করে পরিবেশ উন্নত করা সম্ভব।

    ট্রাশ ও ডাস্ট এর মধ্যে পার্থক্যঃ

    তুলায় অবস্থিত নন-লিন্ট দ্রব্যকে ট্রাশ বলা হয়।

    যেসব ট্রাশ ওপেনিং ও ক্লিনিং এর মাধ্যমে দূর করা হয় তাদের ডাস্ট বলে। এটা ছাড়াও ট্রাশের আকার তুলনামূলক বড় কিন্তু ডাস্টের আকার ছোট থাকে

    আকার অনুযায়ী সম্পূর্ন অপদ্রব্যকে সাধারণত ৪ টি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমনঃ

    ১। ট্রাশঃ ৫০০ মি.মি. এর উপরে

    ২। ডাস্টঃ ৫০ থেকে ৫০০মি.মি.

    ৩। মাইক্রোডাস্টঃ ১৫ থেকে ৫০ মি.মি.

    ৪। ব্রিথয়েবল ডাস্টঃ ১৫ মি.মি. এর নিচে

    বিভিন্ন প্রকার অপদ্রব্যের উদাহরনঃ

    ভেজিটেবল ম্যাটারঃ

    ১। হাস্ক অংশ

    ২। সিড ফ্র্যাগমেন্টস

    ৩। স্টেম ফ্র্যাগমেন্টস

    ৪। লিফ ফ্র্যাগমেন্টস

    ৫। উড ফ্র্যাগমেন্টস

    মিনারেল ম্যাটারিয়ালঃ

    ১। মাটি

    ২। বালি

    ৩। ডাস্ট

    ৪। কোল-ডাস্ট

    অন্যান্য ফরেইন ম্যাটারঃ

    ১। মেটাল ফ্র্যাগমেন্টস

    ২। ক্লথ ফ্র্যাগমেন্টস

    ৩। প্যাকিং ফ্র্যাগমেন্টস

    ফাইবার ফ্র্যাগমেন্টসঃ

    ১। ফাইবারের ক্ষুদ্রাংশ

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments